পটুয়াখালীতে ইমামকে মারধর এবং হামলার খবরটি ভুয়া।
পটুয়াখালী মারকাজ মসজিদে ইমামকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, বরং ইমামের নেতৃত্বে ইমারাত অনুসারীদের (সাদপন্থিদের) উপর পরিকল্পিত হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় জোবায়ের পন্থীদের মিথ্যা প্রচার ও অপবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত।
পটুয়াখালী মারকাজ মসজিদে গত শুক্রবার ইমামকে মারধর নয় বরং ইমামের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পূর্বে মারকাজ মসজিদের ইমাম সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় ৪০/৫০ জন যোবায়ের পন্থী সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকে। পরে ইমামের নেতৃত্বে ইমারাত অনুসারীদের (সাদপন্থিদের) উপর হামলা শুরু করে। মসজিদের ভেতরে এরকম হামলায় হতভম্ব হয়ে পরে সাধারণ মুসল্লীগন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মসজিদের ভেতরে ঢুকে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান এবং এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন তারা।
প্রথমে, Documenting Oppression এর Youtube Channel থেকে হামলার ডকুমেন্টারি ভিডিওটা দেখে আসিঃ আর্কাইভ লিঙ্ক – আর্কাইভ ১, আর্কাইভ ২, আর্কাইভ ৩
এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, পরিকল্পিতভাবে হামলা করল উগ্রবাদী হেফাজতি এবং জুবায়ের পন্থীরা, অথচ হামলার পরের দিন সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা প্রচার করা হয় যে তাদের উপর হামলা হয়েছে। মুলত এটা শুধু মিথ্যা প্রচারই নয় বরং অপবাদও বটে।
এছাড়া জোবায়ের পন্থীরা মূলধারার সাথী আল আমিন সাহেবের যে হামলার কথা বলেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং যোবায়ের পন্থীদের হামলায় সাদপন্থিদের লোকজন আহত হন। যার ভিডিও ফুটেজ দেখলে সবাই বুঝতে পারবে, ইংশা আল্লাহ্।
সংবাদ সম্মেলন:
শেষ কথা:
আলমী শুরা তথা উগ্র হেফাজতি এবং জুবায়ের পন্থীরা যে কত বড় মিথ্যাবাদী এবং ফেতনা সৃষ্টিকারী তা উপরোক্ত ঘটনাটি পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়।
তাহকিক টিমের পরামর্শ:
প্রচারিত তথ্য যাচাই-বাছাই না করে কখনোই শেয়ার করবেন না। বিভ্রান্তি প্রতিরোধে সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দিন।