মসজিদে চুক্তিভিত্তিক সহবাসের চাঞ্চল্যকর ঘটনা: ইসলামিক মূল্যবোধের চরম লঙ্ঘন

বিসমিহি তা’লা
ঘটনার সারসংক্ষেপ:
গাজীপুরের শ্রীপুরে হিল্লা বিয়ের নামে চুক্তিভিত্তিক শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠে মুহতামিম ইসমত আলী আশেকী এবং আরফান আলী শাহী জামে মসজিদের ইমাম কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। পবিত্র মসজিদের অভ্যন্তরে এই ন্যাক্কারজনক কাজ ইসলামিক নীতিমালা, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় অনুভূতির সরাসরি অবমাননা।

তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্য:
১. প্রধান অভিযুক্ত:

• মুহতামিম ইসমত আলী আশেকী, যিনি টেংরা মধ্যপাড়া জামিউল উলুম কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম।
• তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, হিল্লা বিয়ের নামে এক নারীর সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক সহবাস করেছেন।

২. সহযোগী অভিযুক্ত:

• ইমাম কফিল উদ্দিন, যিনি এই ঘটনা সংঘটনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন।

৩. সাক্ষী ও প্রমাণ:

• অভিযুক্ত ইমাম এবং মুহতামিমের স্বীকারোক্তি।
• মসজিদের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইমামকে বরখাস্ত।

শরিয়াহ অনুযায়ী হিল্লা বিবাহ:
ইসলামে চুক্তিভিত্তিক হিল্লা বিবাহ সম্পূর্ণ হারাম এবং প্রতারণা। এটি আল্লাহর বিধানের চরম অপব্যাখ্যা এবং ইসলামিক শিক্ষার অপমান।

তাহকীক প্রমাণ:

• হিল্লা বিবাহের সঠিক নিয়ম হলো, বৈধ স্বেচ্ছায় বিবাহ ও তালাক ছাড়া হিল্লা গ্রহণযোগ্য নয়।
• অভিযুক্তদের কৃতকর্মটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এটি সমাজের ধর্মীয় ভিত্তি দুর্বল করে।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয় মুসল্লি এবং সাধারণ জনগণ ন্যায়ের বিচার দাবি করেছেন। মসজিদ কমিটি অভিযুক্ত ইমামকে বরখাস্ত করলেও মাদ্রাসার মুহতামিমের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি।

তাহকীক অনুরোধ:
এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পবিত্রতা রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।

আলোচনার বিষয়:

• ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
• ইসলামিক মূল্যবোধে সামঞ্জস্যহীন কর্মকাণ্ডের শাস্তি।

তাহকীক অনলাইনের পক্ষ থেকে আহ্বান:
ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য এবং শৃঙ্খলা রক্ষা করবে। মুসলিম উম্মাহকে এমন চরম অন্যায় প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

Wassalam.