মিথ্যা অপবাদ – ০১ | মাওলানা সাদ সাহেবের “বাইয়াত করা” নিয়ে মিথ্যা অপবাদ | Tahqiq Online
মাওলানা সাদ সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার এবং তার প্রকৃত বাইয়াত পদ্ধতি।
মাওলানা সাদ সাহেবের নামে একটি মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে, তিনি নাকি গলদ পদ্ধতিতে বাইয়াত করেন। বলা হচ্ছে, তিনি এভাবে বাইয়াত করান: “আমি মৌলভী সাদের হাতে হাত রেখে মাওলানা ইলিয়াস সাহেবের কাছে বাইয়াত হলাম।” যেহেতু মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইন্তেকাল করেছেন, তাই এই বাইয়াত সঠিক নয় বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রথমে প্রচারণার বক্তব্যটি শুনে নিন:
“উনি এখনো যে বাইয়াত করেন সেটা গলদ বাইয়াত। উনি বাইয়াত করে বলেন- আমি মৌলভী সাদের হাতে হাত রেখে মাওলানা ইলিয়াস সাহেবের কাছে বাইয়াত হলাম।
হাত রাখছে জীবিত ব্যক্তির কাছে, আর বাইয়াত হচ্ছে মৃত ব্যক্তির হাতে। তো মৃত ব্যক্তি আত্মশুদ্ধি দিবে কিভাবে? অন্তরের চিকিৎসা করবে কিভাবে? সম্ভব? এই অভিনব আত্মশুদ্ধি উনার আগে কেউ করেনি, কেউ করেনি।”
মাওলানা সাদ সাহেবের বাইয়াতের প্রকৃত পদ্ধতি
এখন আমরা জানি, এই কথাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। চলুন দেখে নেই মাওলানা সাদ সাহেব কিভাবে এবং কোন কোন বিষয়ের উপর বাইয়াত করান।
প্রথমে তিনি ঈমানী কালেমার অর্থসহ মসক (পুনরাবৃত্তি) করান। এরপর তিনি পছন্দনীয় ও গুনাহের কাজগুলো থেকে তওবা করানোর মসক করান। এর পরে তিনি এই কথাগুলো বলেন:
“আমরা বাইয়াত করলাম হযরত মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস রহমতুল্লাহি আলাইহি এর পরম্পরায় সাদের মাধ্যমে।”
এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি সরাসরি হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহমতুল্লাহি আলাইহি এর কাছে বাইয়াত করাননি। বরং তিনি ইলিয়াস রহমতুল্লাহি আলাইহি এর ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে নিজের কাছে বাইয়াত করান। তবুও তার নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তাকে দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
ভিডিও প্রমাণ
পুরো বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে বুঝতে এবং প্রমাণ দেখতে, নিচের ভিডিওগুলো দেখুন:
- প্রথম প্রচারণার বক্তব্য: ভিডিও লিংক
- মাওলানা সাদ সাহেবের প্রকৃত বক্তব্য: ভিডিও লিংক
- সম্পূর্ণ ভিডিও প্রমাণ: ভিডিও লিংক
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন
সত্যের পথে চলার এই মিশনে আমাদের সাথে থাকুন:
- 🌐 ওয়েবসাইট: https://tahqiq.online/
- 👍 ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/tahqiq.online
- 📺 ইউটিউব চ্যানেল: https://www.youtube.com/@tahqiq.online
- 🔗 টেলিগ্রাম চ্যানেল: t.me/tahqiqOnline
আসুন, সত্যের পক্ষে দাঁড়াই এবং মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করি।